আচ্ছা ভাবুন তো, অনলাইনে তো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, তাহলে সবাই কেন সফল হয় না? দেখা যায় অনেকের প্রোডাকশন কোয়ালিটি টপ-নচ হওয়ার সত্ত্বেও তেমন একটা রিচ হয় না। আবার অন্যদিকে অনেকের প্রোডাকশন কোয়ালিটি কম হলেও ভালোই বিজনেস করে নেয়। এর পেছনে রহস্যটা কী? উত্তরটা পেতে হলে আপনাকে আগে বুঝতে হবে মানুষ কখন প্রোডাক্ট কেনে। ধরুন, একটা দোকানে অনেক কোম্পানির ফেসওয়াশ আছে। আপনি কোনটা কিনবেন? আপনি যেটা চেনেন সেটা নাকি এমন একটা যেটার নাম আপনি কোনোদিন শুনেননি? অবশ্যই আপনি যেটা চেনেন। এই যে আপনাকে কোনো প্রোডাক্টের সাথে পরিচয় করানো এবং পরে আপনার কাছে সে প্রোডাক্টটা সেল করা, এটাই বিজনেস দুনিয়ার অন্যতম একটা সিক্রেট। এবং অনলাইন দুনিয়ায় এটাকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং কী?
ডিজিটাল মার্কেটিং বুঝার আগে আপনাকে বুঝতে হবে মার্কেটিং কী? ধরুন, আপনার একটি কাপড়ের বিজনেস আছে। আপনি চাচ্ছেন, সারাদেশের মানুষ আপনার কাছ থেকে কাপড় নিক। তাহলে আপনাকে যেটা করতে হবে, সারাদেশের মানুষকে এটা জানাতে হবে আপনার কাছে কাপড় আছে এবং আপনি তা বিক্রি করতে চাচ্ছেন। সহজ কথায় মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। এই যে মানুষকে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে জানানো কিংবা তাদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে পৌঁছে যাওয়া এটাকেই বলে মার্কেটিং। মার্কেটিং দুইভাবে করা যায়। একটা অফলাইনে, মানে সরাসরি মানুষের কাছে গিয়ে। আরেকটা অনলাইনে। যেটাকে সহজে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়?
ডিজিটাল মার্কেটিং এ ভালো করবো কীভাবে?
ডিজিটাল মার্কেটিং কী?
ডিজিটাল মার্কেটিং বুঝার আগে আপনাকে বুঝতে হবে মার্কেটিং কী? ধরুন, আপনার একটি কাপড়ের বিজনেস আছে। আপনি চাচ্ছেন, সারাদেশের মানুষ আপনার কাছ থেকে কাপড় নিক। তাহলে আপনাকে যেটা করতে হবে, সারাদেশের মানুষকে এটা জানাতে হবে আপনার কাছে কাপড় আছে এবং আপনি তা বিক্রি করতে চাচ্ছেন। সহজ কথায় মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। এই যে মানুষকে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে জানানো কিংবা তাদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে পৌঁছে যাওয়া এটাকেই বলে মার্কেটিং। মার্কেটিং দুইভাবে করা যায়। একটা অফলাইনে, মানে সরাসরি মানুষের কাছে গিয়ে। আরেকটা অনলাইনে। যেটাকে সহজে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- সারা পৃথিবীতে প্রায় ৫.৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। আপনি যদি তাদেরকে আপনার প্রোডাক্টের সাথে পরিচিত করাতে চান কিংবা তাদের কাছে সেল করতে চান, তাহলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং করা লাগবে।
- অফলাইনে মার্কেটিং করতে হলে আপনার অনেকগুলো কর্মী লাগবে। তাদের বেতন, যাতায়ত খরচসহ মার্কেটিং এর জন্য আলাদা অনেক খরচ লাগে। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এ এত আনুষঙ্গিক খরচ লাগে না। আপনি কম খরচে সহজেই আপনার ব্যবসার প্রচার, প্রসার করতে পারবেন।
- তৃতীয়ত কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারা। ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয় সঠিক মানুষদের টার্গেট করে। যারা আপনার প্রোডাক্ট কিনবে। আর আপনার প্রোডাক্ট কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারলে আপনার সেলও বাড়বে।
কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়?
- Search Engine Optimization (SEO) এর মাধ্যমেঃ আমাদের কোনো কিছু লাগলে আমরা সাধারণত গুগল করি। এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে, ইন্টারনেটে এত ওয়েবসাইট থাকতে কেন কিছু ওয়েবসাইটের রেজাল্ট সবার আগে আসে? এটার সিক্রেট হলো SEO. ধরুন, আপনি গুগলে কোনো ওয়ার্ড লিখে সার্চ দিয়েছেন। সেই ওয়ার্ডটা যদি কোনো ওয়েবসাইটে থাকে, তাহলে গুগল সেই ওয়েবসাইটটা আগে দেখাবে। তবে এখানে আরো অনেক কিছু করা লাগে। সে বিষয়ে অন্য কোনো আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
- Social Media Marketing এর মাধ্যমেঃ সহজ কথায় ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার কোম্পানির অ্যাড দেওয়া। আপনি যদি চান অন্যের ওয়েবসাইটে, ভিডিওতে, প্লাটফর্মে আপনার পণ্য মানুষ দেখুক, সেটা নিয়ে জানুক, তাহলে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হবে।
- Content Marketing এর মাধ্যমেঃ এখনকার মানুষ শুধু Advertising দেখে না, তার সাথে দেখে প্রোডাকশন কোয়ালিটি কেমন, কন্টেন্টের মান কেমন। কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা হয় যে মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে তাকে বলা হয় কন্টেন্ট মার্কেটিং।
- Email Marketing এর মাধ্যমেঃ অনলাইনে সবাই অ্যাড দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে যায়, তাই অনেক সময় মার্কেটিং করলেও মানুষের অতো আগ্রহ থাকে না। কিন্তু আপনি যদি এক এক করে প্রত্যেক কাস্টমারের সাথে আরো ভালোভাবে এনগেজ হতে চান, তাহলে আপনাকে ই-মেইল মার্কেটিং করতে হবে। অর্থাৎ আপনার প্রোডাক্টের ব্যাপারে গ্রাহককে পার্সোনালি মেইল করতে হবে।
- Influencer Marketing এর মাধ্যমেঃ সহজ কথায় সেলিব্রিটিদের মাধ্যমে মার্কেটিং করা। একজন সেলিব্রিটির বিশাল একটা ফ্যানবেইজ থাকে। এ ভক্তরা সেলিব্রিটিকে ট্রাস্টও করে থাকে। এই যে আপনার প্রোডাক্ট সেলিব্রিটির মাধ্যমে বিশাল ফ্যানবেইজের কাছে পৌঁছানো এটাকেই বলা হয় ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং।
- Affiliate Marketing এর মাধ্যমেঃ ধরুন কেউ আপনাকে বলল, সে আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে চায় এবং প্রতিটা সেলের জন্য সে কিছু টাকা কমিশন হিসেবে আয় করতে চায়। এটাকে মার্কেটিংয়ের ভাষায় বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এর মাধ্যমে আপনাকে আর সবার কাছে গিয়ে বলতে হবে না আমার প্রোডাক্ট কিনেন। বরং আপনার হয়ে অন্য কেউ আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ ভালো করবো কীভাবে?
- আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে চেনা। আপনার প্রোডাক্ট কারা কিনবে, তারা কোন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ করে, কোন ইনফ্লুয়েন্সারের কন্টেন্ট বেশি দেখে, কি সার্চ করে এগুলো যদি আপনি জানতে পারেন, তাহলে আপনি অনলাইনে ভালোই সেল জেনারেট করতে পারবেন।
- গ্রাহককে আকৃষ্ট করার জন্য কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট বানানো। আপনি যে ভিডিও বা পোস্টারের মাধ্যমে মার্কেটিং করবেন, সেগুলো দেখে কাস্টমার আপনাকে জাজ করবে। কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট আপনার সেল অনেকগুন বাড়িয়ে দিতে পারে।
- মাল্টি-চ্যানেল মার্কেটিং করা। মানে একইসাথে অনেক ধরনের মার্কেটিং করা। কেউ যদি শুধু ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করে এবং অন্য কোনো ধরনের মার্কেটিং না করে, তাহলে ভালো সেল জেনারেট করা কঠিন হয়ে যায়। এজন্য একইসাথে SEO, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংসহ অনেকগুলো মার্কেটিং একসাথে করলে সেলসও বেশি হয়।
- আপনার কম্পিটিটরকে চেনা। অনলাইনে কারা আপনার মতো একই প্রোডাক্ট বিক্রি করছে, তাদের মধ্যে কার সেল বেশি, কি কারণে বেশি, তারা কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করছে সেটা খুজে বের করা।
- কোন অ্যাড রান করলে সেল বেশি হচ্ছে সেটা অ্যানালাইসিস করা এবং এ ধরনের অ্যাড বেশি রান করা।